ফাইল ছবি।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি জানান।
সাদিক কায়েম বলেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের বিরুদ্ধে এলাকাভিত্তিক চিরুনি অভিযান শুরু করতে হবে। সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের সব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবহেলা আমরা আর সহ্য করব না।”
ডাকসু ভিপি আরও বলেন, “আমাদের ভাই ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী—সব সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সব সংশ্লিষ্ট অর্গানকে দ্রুত জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। যাদের গাফিলতি প্রমাণিত হবে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
তিনি বলেন, “এই হামলাকে যারা সমর্থন জুগিয়েছে, হাদি ভাই ও জুলাই বিপ্লবীদের হত্যাযোগ্য করে তুলেছে—সেই তথাকথিত কালচারাল ফ্যাসিস্টদের সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বয়কট করতে হবে। এসব ব্যবস্থা অবিলম্বে দৃশ্যমান করতে হবে।”
ভারত প্রসঙ্গে সাদিক কায়েম বলেন, “ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ও অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রদত্ত রায় কার্যকর করতে হবে। গণহত্যাকারী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হবে। অভিযুক্তদের ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যাবে না।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই দাবিগুলো অবিলম্বে না মানা হলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন না দেখা গেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...