বিজ্ঞাপন
মন্দির কমিটির বর্তমান সভাপতি উত্তম রায় এ ঘটনায় বীরগঞ্জ থানায় ১৪ ডিসেম্বর (রোববার) রাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মন্দিরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে পুকুরটিতে মাছ চাষ করা হচ্ছিল। কিন্তু গত ১৪ ডিসেম্বর রবিবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে পুকুরপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সব মাছ মরে পানিতে ভাসছে।
তিনি অভিযোগে আরও জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে পুকুরে বিষ বা গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মন্দির কমিটির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে সাবেক কমিটির সভাপতি হরি শংকর রায় অবৈধভাবে গ্যাস ট্যাবলেট ব্যবহার করে মাছ নিধন করেছেন। তারা জানান, এ ঘটনায় শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, পুকুরের জলজ পরিবেশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান মন্দির কমিটি ও এলাকাবাসী।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক সভাপতি হরি শংকর রায় বলেন, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন।
৫নং সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুকুরে মাছ মরে ভেসে থাকার বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফজল ইবনে কাউসার আলী জানান, সরেজমিনে গিয়ে তিনি কিছু মাছ মরে ভেসে থাকতে দেখেছেন। তিনি বলেন, “গ্যাস দুই ধরনের হতে পারে। কোন ধরনের গ্যাসে মাছ মারা গেছে তা জানতে হলে ল্যাব টেস্ট প্রয়োজন। আমাদের এখানে সেই সরঞ্জাম নেই। নোয়াখালীতে ল্যাব সুবিধা থাকায় সেখান থেকে রিপোর্ট নিতে হয়।” তিনি ভবিষ্যতে পুকুরে চুন প্রয়োগ করে পুনরায় মাছ চাষের পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...