বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, তেজগাঁও কলেজের প্রধান ফটক, ফার্মগেটমুখী প্রধান সড়ক এবং আশপাশের গলিগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে ফার্মগেট মোড়ে পুলিশের বাড়তি সতর্কতা লক্ষ্য করা গেছে। থমথমে পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলেও কিছুটা সাবধানতা পরিলক্ষিত হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুনির্দিষ্ট আসামিদের নাম উল্লেখ থাকলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতারে গড়িমসি করছে। শিক্ষার্থী ফারহান আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আজ আমাদের ব্লকেড কর্মসূচি ছিল, তবে জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা কেবল বিক্ষোভ মিছিলে সীমাবদ্ধ রেখেছি। এটি একটি সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড হওয়া সত্ত্বেও কলেজ প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ বারবার সময় নিয়েও মূল অভিযুক্তদের ধরছে না। রাজনৈতিক চাপের কাছে প্রশাসন মাথানত করছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে।"
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হলে আন্দোলনের পরিধি আরও বাড়ানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর রাতে তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। ওই ঘটনায় উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র সাকিবুল হাসান রানাসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। রানাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। টানা চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ১০ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ঘটনার ১১ দিন পার হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয় বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...