বিজ্ঞাপন
প্রকল্পটির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং নতুন উদ্যোক্তা গড়ে তোলার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান ফলাফল দিতে শুরু করেছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সারাদেশের ন্যায় নীলফামারীতেও একযোগে লিখিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর পরদিন শনিবার (২০ ডিসেম্বর) মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলা থেকে ৫ম ব্যাচের জন্য এবার মোট ৮৫৫ জন শিক্ষিত যুব আবেদন করেছেন।
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের নীলফামারী জেলা আয়োজনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের হলরুমে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ মানিক হার রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসান আলী, ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের কো-অর্ডিনেটর ছবি রানী, সহকারী কো-অর্ডিনেটর ইসরাত তামান্না, ট্রেইনার মোঃ সাব্বির আহমেদ, আব্দুল হালিম, রেজাউল করিম হীরা ও সৈকত জামিলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পরীক্ষার্থী রাকিবা সুলতানা ও মানিক ইসলাম জানান, ফ্রিল্যান্সিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে তারা গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং সফট স্কিল বিষয়ক তিন মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।
প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে চারটি ব্যাচে মোট ৩০০ জন যুব ও যুব মহিলা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রশিক্ষণার্থী সরাসরি আয়মূলক কর্মকাণ্ড ও উদ্যোক্তা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। ৫ম ব্যাচে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া পড়ে এবং ৮৫৫টি আবেদন জমা পড়ে।
প্রশিক্ষণকালীন সময়ে প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থী দৈনিক ২০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। পাশাপাশি সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ উপকরণ সরবরাহ করা হবে।
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের কো-অর্ডিনেটর ছবি রানী জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে আত্মকর্মসংস্থান, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ইতোমধ্যেই বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে। সরকারের প্রত্যক্ষ তদারকিতে পরিচালিত এই প্রকল্পটি দেশে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...