ছবি: বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট
বিজ্ঞাপন
এমনকি রান্না করা ভাত-তরকারিও উঠানে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হাসিমপুর গ্রামের মন্টু সরদারের বাড়িতে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সরেজমিনে জানা যায়, হাসিমপুর গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে মন্টু সরদার স্থানীয় সেন্টু খানের কাছ থেকে ৮ শতক জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করে চার বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন। জমি বিক্রির বিষয়ে সেন্টু খানকে জমির মালিকানায় সহায়তা করেন মৃত কওসার খানের ছেলে রহমান খান। পাশেই রহমান খানদের কিছু জমি রয়েছে। মন্টু সরদারের জমি রাস্তার পাশে হওয়ায় প্রতিপক্ষ জোর করে জমির অবস্থান বদল করতে চায়, এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
ঘটনার দিন দুপুরে মন্টু সরদারের স্ত্রী পুকুর থেকে বাথরুমের জন্য মাত্র দু’ঝুড়ি মাটি কাটেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জুলফিকার খান, রহমান খান, হাবিবুর খানসহ আরও কয়েকজন মিলে মন্টু সরদারের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় মন্টু সরদার (৫০), তার স্ত্রী নারগিস বেগম (৪০) ও জামাতা ইকরামুল সরদার (৩০)-কে মারধর করে আহত করা হয়।
হামলাকারীরা বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং ঘরে থাকা গরু বিক্রির কয়েক লাখ টাকা লুট করে নেয়। রান্না করা ভাত ও তরকারি উঠানে ফেলে দেয়। এছাড়া বাড়ির আঙিনায় থাকা আম, জাম, কলা ও সুপারি গাছ কেটে ফেলা হয়। হামলাকারীরা বাড়ি নির্মাণের জন্য রাখা ইটও নষ্ট করে দেয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, প্রতিপক্ষ রহমান খান ও জুলফিকার খানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সেন্টু খান ও তোরাব আলী খান বলেন, “রহমান খানরা কারো কথা শোনে না, খুব খামখেয়ালি প্রকৃতির। আইনকানুন মানে না।”
পাইকগাছা থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইদ্রিসুর রহমান জানান, “রাতে মৌখিকভাবে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
