বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “প্রতীকের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। একই প্রজ্ঞাপনে ২০০৮ সালে দলটিকে প্রতীকসহ নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। আর আরপিও অনুযায়ী, একবার কোনো দলকে একটি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে, সেটি সেই দলের জন্য সংরক্ষিত থাকে।”
তিনি আরও জানান, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল হলে দলটি তাদের পুরনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাবে। অর্থাৎ, প্রতীকটি নতুন করে পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন হবে না।
আপিল বিভাগের রায়: নিবন্ধন বাতিল ছিল ‘অবৈধ’
এর আগে, গত ১ জুন আপিল বিভাগ এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে জামায়াতের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল অবৈধ ঘোষণা করে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ জানায়, হাইকোর্টের ২০১৩ সালের রায়টি ন্যায়সংগত ছিল না এবং সেটির ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করাও আইনগতভাবে বৈধ হয়নি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা ডিএনসিসি নির্বাচনের রায়ের বিশ্লেষণসহ আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ খুঁটিয়ে দেখেছি। আমাদের কাছে বিষয়টি এখন পরিষ্কার যে, গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে কমিশন তার দায়িত্ব শেষ করেছে।”
পটভূমি: ২০০৮ সালের নিবন্ধন ও বিতর্ক
২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন দেয়। তখন থেকেই দলটির ইসলামপন্থী আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এরপর ২০১৩ সালে হাইকোর্ট একটি রায়ে তাদের নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে, যার ভিত্তিতে ইসি ২০১৮ সালে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে দেয়।