ভোরের বাণী
ছবি: সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইয়েমেনের হুদায়দাহ শহরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোর ব্যাপক বিমান হামলায় কমপক্ষে ২১ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও সামরিক সূত্রের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
হুদায়দাহর আল-সালাখানা ও আল-হাওয়াক এলাকাজুড়ে অন্তত ১০টি বড় ধরনের বিমান হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি হামলা হয় হুদায়দাহ বন্দরের নিকটবর্তী বাজিল শহরের একটি কংক্রিট কারখানায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এসব এলাকায় ৫০টিরও বেশি বোমা ফেলা হয়।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাজিলের ওই কংক্রিট কারখানা হুতি মিলিশিয়াদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এখান থেকেই তারা সুড়ঙ্গ এবং সামরিক স্থাপনা নির্মাণে ব্যবহৃত কংক্রিট তৈরি করত। ফলে এই হামলাকে হুতিদের সামরিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর বড় ধরনের আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পটভূমিতে হুতি বিদ্রোহীরা একাধিকবার ইসরায়েলের ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে জানুয়ারির পর থেকে ইসরায়েল হুতিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের কোনো হামলায় যায়নি। এবার যুক্তরাষ্ট্রের ইরান-সমর্থিত হুতিদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আকাশ অভিযানগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল নতুন করে পাল্টা পদক্ষেপ নিল।
ইসরায়েলি হামলার পর হুতি মিডিয়া অফিসের প্রধান নাসরুদ্দিন আমের বলেন, “এই আগ্রাসী হামলা আমাদের দমন করতে পারবে না। এর উপযুক্ত জবাব আমরা দেবো।” তিনি আরও জানান, জায়নবাদী ও মার্কিনদের এসব হামলা হুতিদের সামরিক অভিযানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ইয়েমেনে ইসরায়েলের এই ষষ্ঠ হামলা দেশটির যুদ্ধকৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নির্দেশ করছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে এবং হুতি-ইসরায়েল সংঘাত সরাসরি একটি নতুন মাত্রা নিচ্ছে।
