ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
প্রিয়নবী (সা.) শুধু আত্মার নয়, দেহেরও যত্ন নিতেন। তিনি এমনসব খাবার গ্রহণ করতেন, যেগুলো শুধু পবিত্র ও হালালই নয়, বরং স্বাস্থ্যসম্মত এবং উপকারীও ছিল। আশ্চর্যের বিষয়, আধুনিক বিজ্ঞান আজ স্বীকার করছে—নবীজী (সা.)-এর পছন্দের খাবারগুলোতে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।
নবীজী (সা.)-এর প্রিয় ফলগুলোর মধ্যে ছিল খেজুর, যা শরীরকে সতেজ রাখে এবং তা তিনি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতেন। আঙুর এবং কিসমিসও তাঁর পছন্দের অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেগুলো শরীরকে দ্রুত শক্তি জোগায় এবং রক্তে লোহিত কণিকার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ডুমুর বা ফিগস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস রোগীদের জন্য উপকারী, আর বার্লি বা জাউ ছিল তাঁর অন্যতম প্রধান খাদ্য, যা পেটের সমস্যা ও জ্বরে উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয়।
মাখন, মধু ও ঘিয়ের রুটি ছিল তাঁর দেহের শক্তি বাড়ানোর প্রিয় মাধ্যম। বিশেষত মধু সম্পর্কে তিনি বলতেন, “মধু হলো উত্তম ওষুধ।” দুধ ছিল তাঁর প্রিয় পানীয়, যা তিনি পবিত্র, প্রাকৃতিক এবং সুস্থতার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করতেন। সারিদ নামক রুটি-গোশতের বিশেষ মিশ্রণও তিনি পছন্দ করতেন। মোরগ, সামুদ্রিক মাছ, তরমুজ ও শসা, কদু, বেদানা, খাসির পায়া এবং জয়তুন ফল ও তেল—সবই তাঁর খাদ্য তালিকায় ছিল নিয়মিতভাবে।
এসব খাবার শুধু পুষ্টিগুণেই নয়, বরং ভেষজ ও চিকিৎসাগত দিক থেকেও অত্যন্ত উপকারী। আজকের আধুনিক চিকিৎসা ও নিউট্রিশন সায়েন্সও এই খাবারগুলোর গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করে বলেছে—এসব খাবার রোগ প্রতিরোধ, শক্তি বৃদ্ধি, মানসিক শান্তি এবং দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।
আসুন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের অনুসরণে নিজেদের খাদ্যাভ্যাসকে গড়ে তুলি। সুন্নতের আলোয় জীবনকে আলোকিত করি এবং আমাদের প্রতিদিনের খাবারে নবীজী (সা.)-এর পছন্দের স্বাস্থ্যকর ও হালাল খাবারগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সেই তাওফিক দান করুন—আমিন।
-মাওলানা নূর আলম
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...