ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে চাকরিবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসাথে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের রূপপুর প্রকল্প এলাকা এবং গ্রিনসিটি বহুতল আবাসিক এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস। এর আগে ৮ মে বৃহস্পতিবার, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। কোম্পানির চাকরিবিধি অনুযায়ী নোটিশ পেমেন্ট হিসেবে তাদের তিন মাসের বেতন-ভাতা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তাদের প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ বন্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস বলেন, “বিষয়টি প্রকল্পের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে এবং তারা এটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।”
অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, অব্যাহতি পাওয়া এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ২৮ এপ্রিল থেকে তারা পাবনার ঈশ্বরদীতে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। ৬ মে শহরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন এবং ৭ মে প্রকল্প চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করে তারা।
তাদের অন্যতম দাবি ছিল—প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছানের অপসারণ। কর্তৃপক্ষ মনে করছে, আন্দোলনের নেতৃত্বদানের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যদিও তা প্রতিষ্ঠানিকভাবে ‘চাকরিবিধি লঙ্ঘনের’ অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প, যা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিত। রাশিয়ার কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশজুড়ে এই প্রকল্পকে ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ এবং বিতর্ক রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর একসাথে অব্যাহতির ঘটনা প্রকল্পে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
