Logo Logo

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্ববৃহৎ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল


ভোরের বাণী

Splash Image


বিজ্ঞাপন


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আগামীকাল ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চম সমাবর্তন—যা একক বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাহাড়ে ঘেরা এই মনোরম ক্যাম্পাস ইতোমধ্যেই বর্ণিল সাজে সেজে উঠেছে, আর আয়োজনে যোগ দিতে প্রস্তুত প্রায় ২৩ হাজার কনভোকি।

সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি দুপুর ১:৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৌঁছাবেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ড. ইউনুসকে দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ডি.লিট’ (D.Litt) সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

সমাবর্তন শেষে বিকাল ৪:১০ মিনিটে ড. ইউনুস হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংক পরিদর্শন করবেন এবং পরবর্তীতে তার পৈত্রিক নিবাস বাথুয়া গ্রামে এক ঘণ্টা অবস্থান করবেন। সন্ধ্যায় তিনি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এবারের সমাবর্তনে ৪২ জন পিএইচডি, ৩৩ জন এম.ফিলসহ মোট ২২ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এর মধ্যে কলা ও মানববিদ্যা বিভাগে ৪৯৮৮ জন, বিজ্ঞান বিভাগে ২৭৬৬ জন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে ৪৫৯৩ জন এবং চিকিৎসা বিভাগে ২২৯৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

চবি ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতে ১০০টি বাস ও শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে, কেবল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরিবহন ছাড়া অন্য কোনো যান প্রবেশ করতে পারবে না।

স্মরণিকা, কলম, ব্যাগ, ওয়ালেটসহ বিভিন্ন গিফট আইটেম দেওয়া হচ্ছে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের। প্রতিটি বিভাগে চলছে গাউন, হুড ও কনভোকেশন টুপি বিতরণ। কনভোকিরা তাদের মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী কিংবা সন্তানদের সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসে ছবি তুলছেন, আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। পুরনো স্মৃতি রোমন্থনে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মুখে ফুটে উঠেছে উচ্ছ্বাস।

প্রায় ১৪ কোটি টাকা বাজেটের এই সমাবর্তনে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, স্মরণীয় এই আয়োজন দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

প্রতিবেদক - মোঃ জাকিরুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...