বিজ্ঞাপন
সকাল থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাপক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চোখে পড়েছে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, মূল মঞ্চ, সাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেমের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষভাবে বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটারপ্রুফ সাউন্ড সিস্টেম। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শামীম আহমেদ জানান, ‘‘যেকোনো আবহাওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।’’
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ড্রোন শো এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাপত্র পাঠ—এই তিন পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানটি সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন খ্যাতিমান শিল্পীগোষ্ঠী সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হিসেবে বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় থাকবে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিশেষ ড্রোন শো এবং রাত ৮টায় বিখ্যাত ব্যান্ডদলগুলোর পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও জনসমাগমপূর্ণ অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সোমবার রাত থেকেই অনুষ্ঠানস্থল ও আশেপাশের এলাকায় তৎপর রয়েছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইবনে মিজান এবং র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি খালিদুল হক হাওলাদার জানান, “ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি ও উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।”
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “অনুষ্ঠান চলাকালীন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। সাধারণ মানুষকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসকে কেন্দ্র করে এই অনুষ্ঠান প্রতিবছর নতুন মাত্রায় আয়োজিত হয়ে থাকে। এবারও ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ও প্রযুক্তিনির্ভর উপস্থাপনার মাধ্যমে তা বিশেষ মাত্রা পেয়েছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...