Logo Logo

ভোটের ২ মাস আগে তফসিল, প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন : সিইসি


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি পাওয়ার পরই তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।


বিজ্ঞাপন


তবে ভোটের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি জানান, সব ধরনের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রস্তুতি রয়েছে কমিশনের।

তিনি বলেন, “যত কঠিন সময়ই আসুক না কেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকবে না। এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চিঠি পাইনি। তবে চিঠি না পেলেও আমরা প্রস্তুত আছি।”

সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “নির্বাচনে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব। আমরা চাই নির্বাচন হোক আয়নার মতো স্বচ্ছ। বিশ্ববাসীকে দেখাতে চাই, কমিশনের আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি নেই।”

তিনি আরও বলেন, “ইসি চায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। তাই ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ম্যাসিভ অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন চালানো হবে।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “ইতোমধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।”

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কোনো দলের চেহারা দেখে সীমানা নির্ধারণ করা হবে না।”

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি জানান, যেসব দল নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদের চিঠি দেয়ার প্রয়োজন নেই। তবে যেসব দলের কাগজপত্র সঠিক রয়েছে, তাদের মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই করা হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিবন্ধনের কাজ শেষ করা হবে।

ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “তালিকার কাজ শেষ হয়েছে। তবে আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত নতুন তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।”

সিইসি জানান, কমিশনের এক মাসের একটি পরিকল্পনা রয়েছে, যার আওতায় সব রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা এবং ইসির প্রতি আস্থা ফেরানোকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, “আমাদের নিরপেক্ষ কাজের মাধ্যমেই জনগণের আস্থা ফিরে আসবে। ভোটারদের অংশগ্রহণই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করে তোলে, দল নয়।”

তিনি আরও বলেন, “কোনো চাপ প্রয়োগের ঘটনা ঘটলে সম্পূর্ণ আসনের ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে।”

নির্বাচনের আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে গুজব রটানো রোধে নির্বাচন কমিশন বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সিইসি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...