বিজ্ঞাপন
১. তাওবাহ ,তওবা করা
মানুষের কৃত গুনাহের কারণেই বিপদ এসে থাকে: কুরআনে বলা হয়েছে “জলে ও স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে মানুষের কৃতকর্মের কারণে, যাতে তিনি তাদেরকে তাদের কিছু কার্যকলাপের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।” [সূরা রূম:৪১
সুতরাং, পাপ থেকে তাওবাহ করা মানুষকে বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
“যে কেউ আল্লাহর প্রতি তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তার জন্য সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পথ তৈরি করে দেবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন যা তার ধারণারও বাইরে।”
— [সূরা তালাক: ২]
“আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।”
— [সূরা তালাক: ৩]
“হে মুমিনগণ! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন।”
— [সূরা বাকারা: ১৫৩]
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“দুআ ব্যতীত অন্য কিছু ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎকাজ ব্যতীত অন্য কিছু হায়াত বাড়াতে পারে না।”
— [তিরমিযি: ২১৩৯, সহীহুল জামে’: ৭৬৮৭]
“যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তাকে সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন, সব সংকীর্ণতা থেকে উদ্ধার করবেন এবং এমনভাবে জীবিকার ব্যবস্থা করবেন যা তার কল্পনাতেও ছিল না।”
— [সুনানে নাসায়ি: ৩৮১৯]
এক সাহাবি রাসূল ﷺ–কে বলেছিলেন, তিনি তাঁর সমস্ত সময় দরুদ পাঠে ব্যয় করতে চান।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন যদি তুমি তাই করো
তবে তোমার সব দুঃশ্চিন্তা দূর করা হবে, প্রয়োজন পূরণ হবে এবং তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।তিরমিযি ২৪৫
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন
ইউনুস (আঃ) যখন মাছের পেটে ছিলেন, তখন এই দুআ করেছিলেন
لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
যে কোনো মুসলিম এই দুআ যে কোনো সমস্যায় করলে, আল্লাহ তা কবুল করবেন।”
— [তিরমিযি: ৩৫০৫]
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“সদাকাহ আল্লাহর অসন্তুষ্টি কমিয়ে দেয় এবং অপমানজনক মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।”
— [তিরমিযি: ৬৬৪]
সকল বিপদে উত্তরণের জন্য মূল ভিত্তি হলো আল্লাহর নির্দেশ মান্য করা এবং জীবনকে তাঁর আনুগত্যে পরিচালিত করা। প্রতিটি আমলই এই নীতির একটি অংশ।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...