ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
জাদুটির উৎস লবায়েদ বিন আসম ইহুদি; তা একটা খেজুরের খোসার আবরণে পাথরের নিচে লুকানো ১১টি গিরায় আবদ্ধ।
ভোরবেলা আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.)-সহ কয়েকজন সাহাবী জারযান নামের সেই কূপে যান। তারা পানি ফেলে পাথর সরিয়ে খেজুরের খোসা বের করেন। দেখেন, আবরণে আটকে আছে ১১টি গিরা। এরপর ফিরতি পথে ১১টি গিরায় একসঙ্গে তিলাওয়াত করেন সুরা ফালাকের ৫টি আয়াত ও সুরা নাসের ৬টি আয়াত—ক্ষণেই গিরাগুলো খুলে যায়। এই দুই সুরাই সবচেয়ে কার্যকর “আত্মরক্ষা” এবং “জাদু প্রতিরোধ” হিসেবে স্বীকৃত।
সুরা ফালাকের গুরুত্ব
মক্কায় অবতীর্ণ সুরা ফালাক একটি রুকু ও ৫টি আয়াত বিশিষ্ট। ‘ফালাক’ শব্দের অর্থ প্রভাত বা ভোরের আলো। এই সুরায় ভোরের স্রষ্টার শরণাপন্ন হয়ে অলৌকিক বা অজ্ঞাত ক্ষতিকর শক্তি – যেমন রাতের আঁধার, জাদু-টোনা বা হিংসুকের ষড়যন্ত্র থেকে আত্মরক্ষা করার দোয়ার বর্ণনা আছে।
সুরা নাসের মাহাত্ম্য
সুরা নাসও মক্কায় অবতীর্ণ, ৬টি আয়াতের একটি রুকুয়ুক্ত সূরা। ‘নাস’ মানে মানবজাতি। এতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে লুকানো শয়তানের কুমন্ত্রণা, জিনগত বা মানুষের প্ররোচনায় হৃদয়ে বিরাজমান ভয় থেকে মুক্তির জন্য।
ইসলামী ঐতিহ্যে সুরা ফালাক ও সুরা নাস একত্রে পড়া হলেই জাদু বা অন্যায় প্রভাব নষ্ট হয় । এ দুটি সূরার পঠনের মাধ্যমে “আত্মরক্ষা” নিশ্চিত হয় এবং ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ শারীরিক–মানসিক সুস্থ ও নিরাপদ থাকে ।
আল্লাহ আমাদের আমোল করার তৌফিক দান করেন। আমিন
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...