বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বসুরহাট বাজারের নির্ঝর কনভেনশন হলে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার, বসুরহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মতিন লিটন ও সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াত থেকে বিএনপিতে আসা ফখরুল ইসলাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বজলুল করিম আবেদসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন বক্তব্য দেন। তারা বলেন, জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের ইন্ধনে তিনি এসব ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, ফখরুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দখলবাণিজ্যের অভিযোগ তোলেন। অথচ তিনিই ঢাকায় দখল বাণিজ্যের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন। তাদের দাবি, ফখরুল জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সামনে ৪ শত কোটি টাকার জায়গা দখল করেন এবং এস আলম গ্রুপের ১২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এছাড়া, আওয়ামী সরকারের পতনের পর তিনি জামায়াতের মালিকানাধীন একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হন।
বক্তাদের অভিযোগ, জেলা বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে পকেট বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে ফখরুল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণার আগেই জেলা বিএনপিকে ঘেরাও ও ঝাড়ু মিছিলের হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন তোতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান। একইসাথে নিরপরাধদের মুক্তি এবং তোতার ছেলেদের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-দখল বাণিজ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো ভোরের বাণীকে বলেন, “যারা রাজনীতি করে তারা সংবাদ সম্মেলন ডেকে এমন বক্তব্য দিতে পারে না। আমাদের যদি কোনো দোষত্রুটি থাকে তবে তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করা যেতে পারে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...