বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক মহলে অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ব্যানারে চলা তার মাদক ও জুয়ার অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেই তিনি নতুন দলে আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে এনসিপিতে পদ দেওয়ার ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট এনসিপির চাঁদপাই ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেন উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মৃধা মাজেদুল ইসলাম ও সহ-সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ মেরিন। আগামী ছয় মাসের জন্য অনুমোদিত এ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে মো. আবু সিদ্দিক জোমাদ্দারকে। আর যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন মতিয়ার রহমান মোড়ল, মো. রাসেল শেখ, রবিউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম সাগর ও শামীম চৌকিদার। এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন উত্থান বিশ্বাস, মো. আকরাম, জসিম শেখ, বিকু, মো. ফরিদ, মো. নোমান সাদিক, আখতার, মো. শহিদুল শেখ, গোলাম রাব্বি ও মামুন হাওলাদার।
স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
পৌর বিএনপি নেতা এমরান হোসেন ও সফিকুল ইসলাম শান্ত বলেন, “মতিয়ার রহমান মোড়ল একজন আওয়ামী লীগের নেতা। তাকে এনসিপিতে পদ দিয়ে মূলত আওয়ামী লীগকেই পুনর্বাসন করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কোহিনূর সরদার বলেন, “যদি সত্যিই এমন ঘটে থাকে তাহলে এটি কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়।”
পৌর যুবদল নেতা বিএম ওয়াসিম আরমান অভিযোগ করে বলেন, “লাখ টাকার বিনিময়ে মতিয়ার রহমান মোড়ল এনসিপির পদ নিয়েছেন। আসলে টাকার বিনিময়েই এখানে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।”
যোগাযোগ করা হলে মতিয়ার রহমান মোড়ল বলেন, তিনি এনসিপির কোনো কমিটিতে নেই। এরপরই তিনি ফোন কেটে দেন।
অন্যদিকে এনসিপির উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মৃধা মাজেদুল ইসলাম বলেন, “কোনো আওয়ামী লীগ নেতা আমাদের কমিটিতে থাকতে পারবে না। কেউ যদি থেকে থাকে তবে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার করা হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...