ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
রাজধানী ঢাকায় জনশৃঙ্খলা ও নাগরিকদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে আগামীকাল ১৮ মে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত এলাকাগুলো হলো—কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় সরণি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পর্যন্ত সড়ক ও তার আশপাশের এলাকা, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাংগীর গেট সংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে মহাখালী ফ্লাইওভার পর্যন্ত এলাকা, সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিবি চত্বর এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চল।
আইএসপিআর জানিয়েছে, “রাজধানীতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত রাখা এবং নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত না হওয়ার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।” পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা বা সম্ভাব্য সহিংসতার আশঙ্কা থেকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। বিগত সময়ে দেখা গেছে, এসব এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কিংবা সমাবেশের আয়োজন জনভোগান্তির পাশাপাশি নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে।
আইএসপিআর সর্বসাধারণকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এমন সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা এলো, যখন রাজধানীতে কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন দাবি-দাওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল। বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কূটনৈতিক এলাকার আশপাশের অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা বাড়াতে এ ধরনের পদক্ষেপ নজিরবিহীন নয়।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থেই এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকারও সুরক্ষিত রাখা জরুরি। তাই স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করছেন বিশ্লেষকরা।