ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
যদি এই অপচেষ্টা বন্ধ না হয়, তবে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে।”
শনিবার (১৭ মে) বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাচারিপাড়ার পৌর মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, “একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিলেন, ‘পিন্ডির গোলামির জিঞ্জির ছিঁড়েছি দিল্লির দাসত্বের জন্য নয়।’ তেমনি, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের পর আমি বলতে চাই—দিল্লির শৃঙ্খল ভেঙেছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি ‘হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর’-এর নামে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত হানা হয়, মিয়ানমারের একটি অঞ্চলকে খ্রিষ্টান রাষ্ট্রে রূপান্তরের ষড়যন্ত্র হয়—তবে জনগণকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিংগারবিলের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে—দেশের স্বার্থে কোনো আপস চলে না। তারা বিজিবির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতের অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছে। এজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
হেফাজতের সময় আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, “ফ্যাসিবাদী আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। মনে হচ্ছে, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না। ড. ইউনূস, আপনি ভুলে গেছেন কিছুদিন আগেও আদালতপাড়ায় আমাদের সামনে ঘুরতেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে হেফাজতের নেতাকর্মীরা যা করার দরকার মনে করে, তাই করবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ এমদাদ উল্লাহ সিরাজী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেক্রেটারি মাওলানা গাজী নিয়াজুল কারীম, হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আলী আজম প্রমুখ।
সমাবেশে জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেন আমীরে মজলিস মাওলানা মামুনুল হক।
প্রতিবেদক-মোঃ খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।