বিজ্ঞাপন
পুলিশ সূত্র জানায়, গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে চুরির মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে থানায় আনার পর তাঁকে নারী-শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সকাল ৭টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে ডিউটিরত কনস্টেবল রাশেদুল ইসলামের সহায়তায় বাইরে গিয়ে হঠাৎ ধাক্কা মেরে থানার ভেতর থেকেই পালিয়ে যান তিনি।
ঘটনার পরপরই দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শেরপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই এরশাদ হোসাইন এবং কনস্টেবল রাশেদুল ইসলামকে ক্লোজড করে বগুড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি থানায় পালানোর ঘটনায় নতুন একটি মামলা রেকর্ড করা হয়।
এ ঘটনায় একাধিক ফোর্স বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। অবশেষে ২৩ ঘণ্টার তৎপর অভিযানের পর সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার তারাটিয়া গ্রাম থেকে রাব্বিকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় রাব্বিকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এজন্যই তাঁকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাব্বির বাড়ি শেরপুরের ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর কলোনি গ্রামে হলেও তিনি প্রায়ই গাজীপুরে অবস্থান করতেন।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন জানান, রাব্বির বিরুদ্ধে চুরি ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে সোপর্দ করার পর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...