Logo Logo

দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ১২০০ টন ইলিশ


Splash Image

দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও ভারতে ইলিশ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ বছর ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। এর আগেই পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছাবে বাংলাদেশের ইলিশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৫ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির নীতিগত অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আগ্রহী রপ্তানিকারকদের আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে হার্ড কপিতে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ প্রযোজ্য দলিলাদি দাখিল করতে হবে। প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার।

যারা আগে আহ্বান ছাড়াই আবেদন করেছেন, তাদেরও নতুন করে আবেদন জমা দিতে হবে।

২০১৫ সালে জাতীয় রপ্তানি নীতিতে (২০১৫-১৮) শর্তসাপেক্ষে ইলিশকে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে প্রথমবার ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।

সেবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি কেজি ৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০৭ টাকা) দরে প্রথম তিন চালান ভারতে যায়। পরে দাম বাড়িয়ে প্রতি কেজি ১০ ডলার নির্ধারণ করা হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী— ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭৬ টন ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয় ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৯৯ টন ইলিশ রপ্তানিতে আয় হয় ১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ২৩০ টন ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয় ১ কোটি ২৪ লাখ ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯১ টন রপ্তানি থেকে আয় দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০২ টন ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে আয় হয়েছে ৮০ লাখ ডলার।

তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি হয়, তা মোট উৎপাদনের মাত্র শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ। এমনকি সরকারের অনুমোদিত কোটা থেকেও প্রতিবছর কম ইলিশ রপ্তানি হয়। উদাহরণস্বরূপ, গত বছর ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলেও, বাস্তবে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৮০২ টন।

বাংলাদেশি ইলিশের স্বাদে মুগ্ধ পশ্চিমবঙ্গের বাজার। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে সেখানে প্রতিবছর ইলিশ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করে, সীমিত পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...