Logo Logo

ডাকসু নির্বাচন : ভোটার লাইনে প্রার্থীদের প্রচারণায় ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। তবে ভোটগ্রহণ শুরুর পরও কিছু প্রার্থী ও তাদের সমর্থক ভোটকেন্দ্রের বাইরে লিফলেট বিতরণ ও ভোট প্রার্থনা করায় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।


বিজ্ঞাপন


সরাসরি কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, কার্জন হল, উদয়ন স্কুলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থীরা তাদের দলীয় লিস্ট ও লিফলেট হাতে নিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। এতে কেন্দ্রে প্রবেশমুখে ভিড় তৈরি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সহজে প্রবেশ করতে পারছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো প্রার্থী বা সমর্থক প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এছাড়া, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনী কমিশন সকল ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ করেছে।

কার্জন হল এলাকায় ছাত্রদল সমর্থিত ফজলুল হক মুসলিম হল ইউনিটের নেতাকর্মীরা লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চাইতে দেখা গেছে। একইভাবে সিনেট ভবন কেন্দ্রের সামনেও কয়েকজন প্রার্থী ভোটারদের কার্ড ও লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছিলেন। পরিস্থিতি দেখে রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের সরিয়ে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, “নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী কেন্দ্রের একশ মিটারের মধ্যে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নিয়ম ভঙ্গ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ডাকসুর মানবসেবা সম্পাদক এ বি জোবায়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশমুখে অভিযোগ জানান, “ছাত্রদল এখানে কৃত্রিম জটলা তৈরি করে ডাকসুর ফুল প্যানেলের লিস্ট ধরিয়ে দিচ্ছে। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়।”

পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফারুক শাহ জানান, “আমরা প্রার্থীদের সরিয়ে দিচ্ছি। জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। আর এমন জটলা হবে না।”

অন্যদিকে, দিনের শুরু থেকেই ভোটকেন্দ্রে শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। কয়েক মাস ধরে চলা প্রচার-প্রচারণার কারণে ক্যাম্পাসে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, ভোটের দিনও তার ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা গেছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...