বিজ্ঞাপন
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। হরতালের কারণে জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
হরতাল সফল করতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি অফিস-আদালতে কার্যক্রম না চালানোর আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে জেলার সব হাটবাজার ও দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে, রোববার বাগেরহাটের চার আসন পুনর্বহালের দাবিতে চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। ঘোষণার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের দশানী ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনটি। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন—জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, জেলা বিএনপি নেতা খান মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ আসাফুদৌলা জুয়েল, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা এবং জেলা জামায়াতের যুব বিষয়ক সম্পাদক এস এম মঞ্জুরুল হক রাহাত প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে নির্বাচন কমিশন জেলার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি অবজ্ঞা করেছে। এতে জেলার উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা বুধবার ও বৃহস্পতিবার জেলাজুড়ে একটানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ও সড়ক অবরোধ পালনের ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, আসন পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালিত হলেও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...