ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিচু জমিগুলো বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে, ফলে পাকা ধান পানির নিচে ডুবে গেছে। সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক আবু তালেব জানান, “আমার ৩ একর ধানক্ষেত নিচু জমিতে হওয়ায় পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ওইসব জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, তাই ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছি।”
একই এলাকার আরেক কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, “ধান কাটার সময় শেষের দিকে হঠাৎ টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ক্ষেত পানিতে ভরে গেছে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় ধান তুলতে পারছি না, দুশ্চিন্তায় আছি।”
এদিকে শুধু ধান নয়, ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিতে লিচু ও আমেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। অনেক গাছের ফল ঝরে পড়েছে। পাশাপাশি মাঠে এখনো পড়ে আছে ৩য় ধাপের ভুট্টা। যদিও ১ম ও ২য় ধাপের ভুট্টা ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে, তবে বৃষ্টির কারণে তৃতীয় ধাপের ভুট্টা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা চরম সমস্যায় পড়েছেন।
এতে কৃষক ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। টানা বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়েছে।
এ অবস্থায় খোকশাবাড়ি এলাকার স্কুল শিক্ষক সুভাষ বসু বলেন, “আবহাওয়া অনুকূলে এলে কৃষকরা কিছুটা হলেও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। এখন শুধু প্রকৃতির ওপর নির্ভর করেই আমাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
প্রতিবেদক- সেলিম রেজা, নীলফামারী।
