ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
এই ঘটনা গত আড়াই মাসের তুলনায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র জেনস লার্কে জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা গাজায় আরও বেশি ত্রাণ ট্রাক ঢোকার অনুমতি চেয়েছিলাম এবং তা পেয়েছি। আজ প্রায় ১০০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করছে।”
এই ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো করিম আবু সালেম ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করবে। এই ক্রসিং বর্তমানে গাজার জন্য প্রধান প্রবেশদ্বার, যদিও সেখানে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারি রয়েছে। লার্কে আরও জানান, এই ত্রাণ কার্যকর বিতরণ পদ্ধতি অনুসরণ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার (১৯ মে) মাত্র পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছিল যে তারা নয়টি ট্রাক ঢুকতে দিয়েছে, জাতিসংঘ তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, প্রকৃত সংখ্যা ছিল পাঁচ। এর পরদিনেই ১০০ ট্রাক ঢোকার অনুমতি দেওয়া বড় ধরনের অগ্রগতি বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ত্রাণগুলোতে রয়েছে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী এবং ওষুধ—যা গাজাবাসীর জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি। যুদ্ধ ও অবরোধে বিপর্যস্ত এই উপত্যকায় বর্তমানে নিরাপদ পানিও সংকটজনকভাবে কমে গেছে।
এদিকে, গাজায় এতদিন জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক রেডক্রসসহ কিছু মানবিক সংস্থা ত্রাণ বিতরণ করে আসছিল। তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি একটি নতুন ত্রাণ বিতরণ সংস্থা গঠনের কথা বলছে। যদিও এই নতুন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান।
বিশ্লেষকদের মতে, ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থায় ইসরায়েলের হস্তক্ষেপ তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও প্রভাব বিস্তারের অংশ হতে পারে। তবে এখনো সাধারণ মানুষ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপরই বেশি আস্থা রাখছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ১০০ ট্রাক ত্রাণ কিছুটা স্বস্তির বার্তা বয়ে আনলেও বাস্তবতা বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় এটি অপ্রতুল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।