ভোরের বাণী
ছবি: পিআইডি
বিজ্ঞাপন
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ১৯৯০-এর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তরুণদের যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল, আগামী দিনেও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় তরুণরাই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।
বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রা ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সবক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এ লক্ষ্যে তথ্য অধিদফতর একটি সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যার আওতায় সারা দেশে সেমিনার, কর্মশালা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে তরুণদের মতামত সংগ্রহ ও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ বলেন, “সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের ভাবনা ও উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা সম্ভব।” তিনি জানান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় তরুণদের অংশগ্রহণে ‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রা’ বিষয়ক একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।
সভায় জানানো হয়, তথ্য অধিদফতরের উদ্যোগে বিভিন্ন আঞ্চলিক তথ্য অফিস ও সদর দফতর থেকে ‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রা ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, ফিচার ও নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে। এতে তরুণদের মতামত, অংশগ্রহণ এবং ভাবনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের উদ্যোগ তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর, সচেতন ও সমাজমুখী তরুণ প্রজন্ম গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। অপতথ্য রোধ এবং তথ্যভিত্তিক নাগরিক সমাজ গঠনে এই কর্মপরিকল্পনা হতে পারে কার্যকর পদক্ষেপ।