ভোরের বাণী
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২১ মে) তিনি উপজেলা আমলি আদালতে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক বাদী ও তার আইনজীবীর বক্তব্য শুনে মামলা বাতিলের আদেশ দেন। মামলাটি দায়েরের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দেয়। বিশেষ করে মামলায় স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিককে আসামি করায় সমালোচনার মুখে পড়েন বাদী।
এর আগে গত সোমবার (১৯ মে) একই আদালতে কামরুল হাসান মামলাটি দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগ ছিল, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘ভারতের নির্দেশে পরিচালিত একটি সাজানো ভোট’ ছিল। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের দিন ভোট দিতে গেলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে মারধর করে এবং ভোটকেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক ব্যালট বাক্স পূর্ণ করে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়।
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিক, পুলিশ কর্মকর্তা এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বাদীর ভাষ্য অনুযায়ী, ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তিনি এবং অন্যান্য ভোটাররা সন্ত্রাসীদের দ্বারা বাধাগ্রস্ত হন এবং নির্যাতনের শিকার হন।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
তবে বুধবার আদালতে হাজির হয়ে বাদী মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি মামলাটি তুলে নিচ্ছেন। এর আগে তিনি সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহারের জন্য অনাপত্তিপত্রও জমা দেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হলে বিচারক মামলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মামলাটি দায়ের ও তার পরবর্তী প্রত্যাহার এক ধরনের রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। এতে বোঝা যায়, স্থানীয় থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত সিদ্ধান্ত প্রভাব ফেলেছে মামলার গতিপথে।