ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বিটিআরসি জানায়, সরকারি ও বেসরকারি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (IIG) অপারেটরদের জন্য নতুন ব্যান্ডউইথ মূল্যের ফ্লোর ও সিলিং নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে সর্বনিম্ন প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ২৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৯৯ টাকা।
কমিশনের মতে, এই ট্যারিফ আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, তবে বাজার পরিস্থিতি ও গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় এটি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী, ব্যান্ডউইথের ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ থেকে ১০০০ এমবিপিএস পর্যন্ত প্রতি এমবিপিএস মূল্য ২৬৫ থেকে ২৯৯ টাকা এবং ১ লাখ এমবিপিএস বা তার বেশি ব্যান্ডউইথের ক্ষেত্রে প্রতি এমবিপিএস ২৩০ থেকে ২৫৫ টাকা। ঢাকার মধ্যে ও বাইরের জন্য ভিন্ন ফ্লোর-সিলিং প্রাইস নির্ধারণের সুযোগ থাকলেও তা ট্যারিফের নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে।
তবে শুধু মূল্য নয়, সেবার মান নিশ্চিত করতেও বিটিআরসি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন নির্দেশনায় ‘গ্রেড অব সার্ভিস’ (Grade of Service) অনুযায়ী তিনটি গ্রেড (এ, বি, সি) নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রেড A: আপটাইম ৯৯.৯% নিশ্চিত করতে হবে। ডাউনটাইম: সর্বোচ্চ বার্ষিক ৫২৬ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
এছাড়া নির্দিষ্ট ব্যান্ডউইথ পরিমাণের ক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদও নির্ধারণ করা হয়েছে।
১০ জিবিপিএসের বেশি ব্যান্ডউইথ: চুক্তির মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস
৩০ জিবিপিএসের বেশি: চুক্তির মেয়াদ কমপক্ষে ১ বছর
চুক্তি অনুযায়ী সেবা দিতে ব্যর্থ হলে গ্রাহক প্রতিষ্ঠান সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে। কমিশনের আরও নির্দেশনা অনুযায়ী: অনুমোদিত IIG POP থেকেই সেবা দিতে হবে, কমিশনের অনুমোদন ছাড়া নতুন পণ্য বা সেবা চালু করা যাবে না, ট্যারিফ ওয়েবসাইটে প্রকাশ বাধ্যতামূলক, নির্ধারিত ট্যারিফের বাইরে সেবা পরিচালনা করলে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা ইত্যাদি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ দেশের ইন্টারনেট খাতে প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং সাধারণ ব্যবহারকারী উপকৃত হবেন। ব্যান্ডউইথের দাম কমলে ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেটের খরচ কমার সম্ভাবনাও তৈরি হবে।
