ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন এবং রাশিয়ার ফেডারেল বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোমোদেদোভো, ঝুকভস্কি এবং ভনুকোভো—এই তিনটি বিমানবন্দরের কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়। তবে বর্তমানে এসব বিমানবন্দরে আবারও ফ্লাইট ওঠানামা স্বাভাবিক হয়েছে।
রাশিয়ার ফেডারেল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মুখপাত্র আর্টিওম কোরেনিয়াকো জানান, "সতর্কতার অংশ হিসেবে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কিছু সময়ের জন্য বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।"
এদিকে মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানান, ঘটনার আগের দিন মস্কোর দিকে আরও ২৭টি ড্রোন ছোড়া হয়, যার মধ্যে ২৩টি সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ যেসব স্থানে পড়েছে, সেখানে জরুরি সেবাদল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ড্রোন হামলা এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। তবে মস্কো এতদিন তুলনামূলকভাবে এসব হামলা থেকে নিরাপদ ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজধানীর উপর বারবার ড্রোন হামলা রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে।
ড্রোন হামলার এই ধারা চলতে থাকলে তা শুধু রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাই নয়, গোটা ইউরোপের আকাশপথ ব্যবস্থাকেও অনিশ্চয়তায় ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। মস্কোসহ বড় শহরগুলোর উপর হামলা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ও বাণিজ্যিক পরিবহনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।