বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, আহত অবস্থায় এএসপি শামিম আনোয়ারকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় পৌরসভার সিএনজি-অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ইজারাদার মো. আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, “আমি পৌরসভা থেকে ২৫ লাখ টাকায় স্ট্যান্ডের ইজারা নিয়েছি। কিন্তু অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শামিম আনোয়ার বারবার ইজারার টাকা তুলতে বাধা দেন। এর আগে আমাদের দুইজন লোককে গ্রেপ্তার করেও জেলে পাঠিয়েছিলেন। আজও তিনি আরশিনগর এলাকায় গিয়ে আমাদের লোকজনকে আটক করছিলেন। আমরা বৈধভাবে ইজারা নিয়ে কাজ করছি। যদি আমাদের কাজ করতে না দেওয়া হয়, তবে সরকারকে দেওয়া ২৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে।”
অন্যদিকে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে এএসপি শামিম আনোয়ার বলেন, “আজ সকালে আরশিনগর এলাকায় দুইজন লোক যানবাহন থেকে টাকা তুলছিল। আমি গিয়ে জানতে চাই কীসের টাকা তোলা হচ্ছে। তখন আমি জানাই, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ সময় হঠাৎ ৩০-৩৫ জন লোক অতর্কিতে আমার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা আমাকে কিল-ঘুষি মারে এবং লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে নরসিংদীর সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছিলেন এএসপি শামিম আনোয়ার। এ বিষয়ে তিনি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়ে সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিলেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...