ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
এই ঘটনায় ৩৯ বছর বয়সী এক জার্মান নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হামলাটি ঘটে হামবুর্গের সেন্ট্রাল রেলস্টেশনে, যেখান দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন। পুলিশের বিবরণ অনুযায়ী, অভিযুক্ত নারী স্টেশনে প্রবেশ করেই সামনে যাকে পেয়েছেন, তাকেই এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলাকারীকে নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং গ্রেপ্তার করে। তাকে হেফাজতে নেওয়ার পর শনিবার আদালতে তোলা হয়েছে।
হামলার পর এক বিবৃতিতে হামবুর্গ পুলিশ জানায়, “এই হামলার পেছনে কারও প্ররোচনা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।” পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নারী একজন জার্মান নাগরিক। তবে তার নাম বা পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনার পরপরই দেশটির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিশ মের্জ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্দার দোবরিন্দ আহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তারা তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য পুলিশ ও জরুরি পরিষেবা কর্মীদের প্রশংসা করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জার্মানিতে ছুরি হামলার ঘটনা বাড়ছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব ঘটনায় জড়িত ছিলেন বিদেশি আশ্রয়প্রার্থী। গত জানুয়ারিতে আফগান নাগরিকের ছুরি হামলায় দুইজন নিহত হন। এর আগে সিরিয়ান এক শরণার্থীর হাতে সোলিঙ্গেনে তিনজন প্রাণ হারান।
তবে এইবারের হামলায় জড়িত নারী নিজেই একজন জার্মান নাগরিক, যা দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক নতুন প্রশ্ন তুলেছে। জননিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যপরিস্থিতি—এই দুই বিষয় এখন দেশটির প্রশাসনের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।