বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম, পিপিএম (বার)।
তিনি জানান, গত ৫ অক্টোবর আলিপের মা রোজিনা বেগম তার ছেলেকে না পেয়ে নড়াইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-১৭৯, তারিখ ০৫/১০/২০২৫) করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৩ অক্টোবর সকালে ইজিভ্যান চালাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি আলিপ।
ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে নড়াইল জেলা পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নামে। তদন্তে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার দিন স্থানীয় মিনারুল বিশ্বাস (২২) ও হৃদয় মোল্যা (২০)-এর সঙ্গে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল আলিপের। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন মিনারুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মিনারুল পুলিশের কাছে স্বীকার করে, সে ও সহযোগী হৃদয় মোল্যা পরিকল্পিতভাবে আলিপকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। পরে দেবভোগ বিল এলাকায় নিয়ে গলা চেপে হত্যা করে এবং মরদেহ পাশের ডোবার কচুরিপানার নিচে ফেলে রাখে। পরদিন তারা আলিপের ইজিভ্যানের ব্যাটারি খুলে নড়াইল শহরের মুচিরপোল এলাকায় বিক্রি করে দেয়।
পুলিশ অভিযানে ব্যাটারি, ইজিভ্যান ও ভিকটিমের ব্যবহৃত স্মার্টফোন উদ্ধার করে।
এরপর ৬ অক্টোবর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে পালানোর সময় ঘাতক হৃদয় মোল্যাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভিকটিমের মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় হত্যা মামলা (নং-০৭, তারিখ ০৬/১০/২০২৫, ধারা ৩০২/২০১/৩৭৯/৪১১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০) দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) নূর এ আলম সিদ্দিকী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম এবং নড়াইলের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রতিবেদক- মো: নূরুন্নবী সামদানী, নড়াইল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...