Logo Logo

নেত্রকোণায় ফিটনেস থাকা সড়ক পুনর্নির্মাণ, সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ


Splash Image

ফিটনেস থাকা সত্ত্বেও নেত্রকোনার মদন পৌর এলাকায় প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পাকা সড়কের পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় সরকারি অর্থ অপচয় ও নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটি পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগী— কোথাও কোনো ভাঙা বা খানা-খন্দ ছিল না। তারপরও কোনো অনুমোদিত এস্টিমেট ছাড়াই নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মদন উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে “মদন-কেন্দুয়া ইউজেডআর ভাটি মনোহরপুর ভায়া দেওয়ান বাজার রোড” নামীয় ৩ হাজার ৩৭০ মিটার সড়কটি ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। কাজটি সম্পন্ন করে রাহাত এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, যার ফিটনেস মেয়াদ রয়েছে তিন বছর।

তবে সম্প্রতি একই সড়কের অংশে মদন পৌরসভা নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। পৌরসভা সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আইইউজিআইপি প্রকল্পের আওতায় মদন পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন থেকে জাহাঙ্গীরপুর ফাজিল মাদরাসা পর্যন্ত ৮০৫ মিটার সড়কের কাজ চলছে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে কবির সিন্ডিকেট সেন্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি পুরনো পাকা সড়কের ওপরই নতুন করে আরসিসি ঢালাই দিচ্ছে, বক্সকাটিং বা বালু ফেলার কোনো কাজ না করেই। নিয়ম অনুযায়ী পুরনো স্তর তুলে বালু ও রড বসিয়ে ঢালাই করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের দাবি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল রোমান বলেন, “সড়কটির পুরনো এস্টিমেট বাতিল করে নতুন এস্টিমেট করার কথা রয়েছে। আমরা ড্রয়িং অনুযায়ী কাজ করছি, তবে নতুন এস্টিমেট এখনো হাতে পাইনি।”

মদন পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী জামিল হাসান বলেন, “৮০৫ মিটার সড়কের পরিবর্তে আগের সড়কের ওপর ঢালাই দিয়ে ১২০০ মিটার পর্যন্ত কাজের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নতুন এস্টিমেট এখনো হাতে আসেনি।”

এ বিষয়ে মদন উপজেলা প্রকৌশলী এস.এম. শাহাদত হোসেন বলেন, “২০২৪ সালে যে সড়কটি এলজিইডির আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে, সেটির ফিটনেস এখনও বহাল রয়েছে। পৌরসভা পুনরায় সেই সড়কে কাজ করছে, তবে আমাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।”

মদন পৌরসভার প্রশাসক (ইউএনও) মো. অলিদুজ্জামান বলেন, “স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতেই কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে এস্টিমেট ছাড়া কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকৃত প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও সড়কটিতে পুনরায় কাজের উদ্যোগ নেওয়া সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...