ভোরের বাণী
ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। উপস্থিত আছেন ১৯ জন উপদেষ্টা।
এর আগে একই স্থানে সকাল ১১টায় শুরু হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। এতে মোট ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন পায়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একনেক সভা শেষ হতেই উপদেষ্টারা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন। সম্মেলন কক্ষের বাইরে থাকা পতাকাবাহী ১৯টি গাড়ি থেকে বোঝা যায়, বৈঠকটি কতটা তাৎপর্যপূর্ণ।
সভাসূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা বৈঠকে কেবলমাত্র উপদেষ্টারাই উপস্থিত ছিলেন। একনেক সভা শেষ হতেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের কক্ষ ত্যাগ করতে বলা হয়। এই বৈঠককে বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের পটভূমিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, অধ্যাপক ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্য এই বৈঠকের কেন্দ্রে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নিয়মিত উপদেষ্টা সভার শেষে তিনি অনির্ধারিত আলোচনায় নিজের পদত্যাগের ভাবনার কথা জানান। তার মতে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের অভাব, বারবার সড়ক অবরোধ, প্রশাসনিক অসহযোগিতা ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নানা প্রতিবন্ধকতা সরকারের কার্যক্রমকে জটিল করে তুলেছে।
এ বক্তব্যের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়। বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এ বিষয়ে আলোচনায় বসেছেন। যদিও কোনো দলই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায় না, তবু তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দাবি করছে।
এদিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও জাতীয় নিরাপত্তা এবং নির্বাচন ইস্যুতে স্পষ্ট অবস্থান জানানো হয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বুধবার সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা বলেন, যা পরিস্থিতিকে আরও স্পর্শকাতর করে তুলেছে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, আজ বিকেলে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।