ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, তার কোনো অপরাধ নেই, তিনি কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি করেননি বা কাউকে চুরি করতে সহায়তা করেননি।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, আপনারা কি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাবেন? কেউ কেউ বলছেন উপদেষ্টারা আঁতাত করছেন বা সেফ এক্সিটে যাচ্ছেন।” উত্তরে ড. খালিদ হোসেন বলেন, “আমরা কোথায় দেশ থেকে পালাবো? আমার ঢাকা বা চট্টগ্রাম শহরে কোনো বাড়ি নেই। আমি সেফ এক্সিট নিয়ে কি বাইরে গিয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকবো? এই দেশটা আমার। আমরা যদি একটা নির্বাচিত সরকারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারি, সেটা আমাদের বড় সফলতা। এটি আমাদের জন্য কৃতিত্ব। সেফ এক্সিটের কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা কোনো অপরাধ করিনি, কোনো টাকা লুট করিনি। যে আমাদের লুকিয়ে থাকতে হবে।”
সম্প্রতি এক মাদ্রাসায় তিনি কঠিন সময়ের বিষয়েও মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কঠিন সময় তো সবসময়ই থাকে। আমরা যে সময় দায়িত্ব নিয়েছি, সেটা ছিল সংকটময়। সেই সময় ল’ অ্যান্ড অর্ডার ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়টা ছিল আরও ভয়ঙ্কর। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে ৩২ বিলিয়নের বেশি হয়েছে।”
ড. খালিদ হোসেন বলেন, “আমরা আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সব সিস্টেমকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। আগামীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, তাদের জন্য আমরা পথ মসৃণ করে রেখেছি।”
নাহিদ ইসলামসহ কিছু ব্যক্তির সেফ এক্সিট ও অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমার পক্ষে বলা কঠিন। এটা নাহিদ সাহেবই ভালো বলতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, “যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তাদের সঙ্গে সরকারের কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক কারণে অনেকেই অনেক কথা বলেন। সবকিছুতো আর শতভাগ মাপা যায় না। আমাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক ভালো। প্রত্যেকের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছি।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...