বিজ্ঞাপন
রিয়াজ শিকদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা এবং নারীর শ্লীলতাহানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর প্রভাবেই গত ৯ মাসে তিনি তিনবার গ্রেফতার হয়েছেন। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর ২৫ তারিখে পুনরায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন বহিষ্কৃত এই যুবদল নেতা।
পূর্ববর্তী গ্রেফতারির ঘটনায় উল্লেখযোগ্য, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ইন্দুরকানীর টগড়া মোড়ে একটি সালিশ বৈঠকে হামলার ঘটনায় রিয়াজ গ্রেফতার হন। এরপর ১৮ মে চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ২৩ এপ্রিল ভোরে ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর টোল প্লাজা থেকে ৫ লাখ টাকার চিংড়ি মাছের পোনা ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে রিয়াজের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও মামলা দায়ের হয়নি।
রিয়াজের বিরুদ্ধে থানায় আরও অনেকগুলো মামলা রয়েছে। এছাড়া পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও তার দলীয় নেতাদের সঙ্গে গভীর সখ্যতা ছিল। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত যুবলীগ নেতা সোহগ সিকদারের সঙ্গে একটি মাদক মামলায়ও তিনি আসামী ছিলেন। পাশাপাশি নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে রিয়াজের বিরুদ্ধে।
রিয়াজের দলীয় নেতাকর্মীরা জানাচ্ছেন, বহিষ্কারের পর তিনি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারেননি। তবে জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্যই বারবার গ্রেফতার হচ্ছেন রিয়াজ। দলীয় নেতারা মনে করছেন, একই কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাত্র তিন দিনের মধ্যে রিয়াজকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...