বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’-এর উদ্যোগে পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী পদ্মা গ্রামের বুড়ির খাল এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েক শতাধিক মৎস্যজীবী, কৃষক ও স্থানীয় মানুষ অংশ নেন।
কর্মসূচিটি ছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের অন্যায্য নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ঘোষিত “ক্ষতি বন্ধ করো! ঋণ বাতিল করো! ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর এখনই!” শীর্ষক বৈশ্বিক কর্মসপ্তাহের (১৩–১৮ অক্টোবর ২০২৫) সঙ্গে সংহতির অংশ।
আয়োজকরা বলেন, এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো ঋণের ফাঁদ থেকে মুক্তি, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর জন্য ন্যায্য অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনের দাবিকে জোরদার করা। তাঁরা “ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ চাই” শ্লোগান তুলে ধরেন এবং নারী, শ্রমিক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বে টেকসই ও ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়নের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক, সিসিডিবির উপজেলা সমন্বয়কারী সুজন কুমার, সিএনআরএসের ফিসনেট প্রকল্পের নিজাম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক জুবায়ের ইসলাম ও মাইনুল ইসলাম রেজা, জেলে জামাল হোসেন, এবং উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন প্রমুখ।
হাসিবুল হক বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন উপকূলের জেলে সম্প্রদায়। সাগরে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যায় ট্রলার ডুবে বহু জেলে প্রাণ হারাচ্ছে বা নিখোঁজ হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো সেই ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না।”
শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, “উন্নত রাষ্ট্রগুলোর অন্যায়ের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তারা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী, অথচ আমাদের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা দয়া নয়, ন্যায্য অধিকার চাই — ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ চাই। উপকূলের মানুষের একটাই দাবি: ক্ষতি বন্ধ করো, ঋণ বাতিল করো, টেকসই উন্নয়নের পথে ন্যায়ভিত্তিক রূপান্তর নিশ্চিত করো।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...