বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স কার্যালয় (ওএমএ) থেকে ১৪ অক্টোবর পাঠানো এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। চিঠিটি বাংলাদেশের সামরিক উপদেষ্টা এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের উদ্দেশে প্রেরণ করা হয়।
ওএমএ’র ভারপ্রাপ্ত সামরিক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেরিল পিয়ার্সের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে স্বাক্ষর করেন চিফ অব স্টাফ ক্যাপ্টেন লনি ফিল্ডস জুনিয়র। খসড়া প্রস্তুত করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানবির আলম, যিনি বর্তমানে সংস্থাটির মিলিটারি পিস অপারেশন সাপোর্ট শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চিঠিতে বলা হয়, জাতিসংঘ মহাসচিবের নির্দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে চলমান আর্থিক সংকটের কারণে ১৫ শতাংশ বাজেট হ্রাসের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর ফলে ইউনিফর্মধারী সদস্যদের জন্য বরাদ্দ অর্থও কমানো হচ্ছে, যা সরাসরি মাঠপর্যায়ের শান্তিরক্ষীর সংখ্যায় প্রভাব ফেলবে।
সবচেয়ে বেশি সদস্য প্রত্যাহার করা হবে দক্ষিণ সুদানের মিশন ‘ইউএনমিস’ থেকে—মোট ৬১৭ জন। এছাড়া মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের ‘মিনুসকা’ মিশন থেকে ৩৪১ জন, সুদানের আবেই অঞ্চলের ‘ইউনিসফা’ থেকে ২৬৮ জন, কঙ্গোর ‘মনুসকো’ থেকে ৭৯ জন এবং পশ্চিম সাহারার ‘মিনুরসো’ মিশন থেকে ৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দেশে ফিরবেন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তর চিঠিতে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনকে আশ্বস্ত করেছে যে, সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণভাবে আর্থিক সংকটজনিত। পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন হলে তা দ্রুত জানানো হবে। পাশাপাশি, শান্তি ও সহযোগিতার অভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে কঙ্গোতে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বশেষ কন্টিনজেন্ট প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় জাতিসংঘ। ওই ইউনিটে ১৮০ সদস্য ছিলেন, যাদের মধ্যে ৭০ জন নারী পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁদের আগামী নভেম্বরে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেয় বাংলাদেশ—মাত্র ১৫ জন পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে। এরপর থেকে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা বিশ্বের ৪৩টি অঞ্চলে ৬৩টি মিশনে অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে বিশ্বের ১০টি শান্তিরক্ষা মিশনে ৫ হাজার ৬১৯ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...