ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত ও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা।
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিকোলাইভে হামলায় ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, কিয়েভের পশ্চিমাঞ্চল ঝিতমিরে প্রাণ হারিয়েছে তিনটি নিষ্পাপ শিশু। এই হামলার ভয়াবহতা গোটা ইউক্রেনজুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।
খমেলিনতস্কি অঞ্চলের প্রধান সেরহি তিউরিন জানান, সেখানে চারজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। রাশিয়ার হামলায় ছয়টি প্রাইভেট হাউজ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অন্তত ২০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কিয়েভে রুশ হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন এবং ১০ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অঞ্চলটির প্রধান মিকোলা কালাশনিক। তিনি জানান, রুশ হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লেগে গেছে, যার ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া কিয়েভজুড়ে আরও ১১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু আবাসিক ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধকালীন এই সময়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের চালানো ড্রোন হামলা রাশিয়ার অন্তত আটটি অঞ্চলকে লক্ষ্য করেছিল। মস্কোর স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ২৪ মে রাত ৮টা থেকে ২৫ মে রাত ১২টা পর্যন্ত রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট ৯৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন প্রতিহত বা ধ্বংস করেছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানিয়েছেন, রাজধানীর দিকে ধেয়ে আসা ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। যদিও এতে হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাল্টাপাল্টি হামলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বেসামরিক মানুষ এ ধরনের সহিংসতার সবচেয়ে বড় শিকার হয়ে উঠছেন।