বিজ্ঞাপন
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত কলেজটির সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ ড. আতাউর রহমান বলেন, “গুণগত শিক্ষা ও শৃঙ্খলাই আমাদের সাফল্যের ভিত্তি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এ ফলাফল সম্ভব হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, প্রতিটি শিক্ষার্থীর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে কলেজে আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, সাউন্ড সিস্টেম, ডিজিটাল ল্যাব, লাইব্রেরি ক্লাস কার্ড সিস্টেমসহ উন্নত শিক্ষণ পদ্ধতি চালু রয়েছে। নিয়মিত ক্লাস পর্যবেক্ষণ, অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন ও শিক্ষার্থীদের মেন্টরিং সেশন পরিচালনা করা হয়। বোর্ড পরীক্ষার আগে বিশেষ ক্লাস ও মডেল টেস্টের ব্যবস্থাও রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব পরীক্ষার পরিবেশে অনুশীলনের সুযোগ পায়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কলেজটির মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭৫৮ জন। এর মধ্যে ৭৫৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাসের হার ৯৯.৪৭ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৯.৮৫ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৯৬.৫৯ শতাংশ।
ড. আতাউর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই কলেজটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানসম্মত শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে। আমাদের লক্ষ্য শুধু ভালো ফল নয়, বরং সৎ, চরিত্রবান ও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ নাগরিক তৈরি করা। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষের পাশাপাশি মানবিক বিকাশেও আমরা সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।”
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা, গবেষণা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে ধারাবাহিক উৎকর্ষ অর্জন করে আসছে। এ কারণে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে কলেজটি এখন অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।
অধ্যক্ষ আরও জানান, কলেজটির শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিমধ্যে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম স্থান, কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে পদক অর্জন—এসবই শিক্ষার মান ও সক্ষমতার প্রমাণ। পূর্বে এক ব্যাচ থেকেই ৫২ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেলে এবং ৩৮ জন বুয়েটে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এছাড়া বুয়েটের বিভিন্ন ব্যাচে কলেজের শিক্ষার্থীরা আটবার দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, “এই সাফল্যের কৃতিত্ব আমাদের পরিশ্রমী শিক্ষক, নিবেদিতপ্রাণ কর্মচারী, দায়িত্বশীল অভিভাবক এবং সর্বোপরি মেধাবী শিক্ষার্থীদের। মহান আল্লাহর রহমতে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করছি এবং ভবিষ্যতেও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা পদ্ধতি, মানসম্মত প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষক–শিক্ষার্থীর নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...