অভিযুক্ত ইমন।
বিজ্ঞাপন
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি স্ট্যাটাসে ইমনের ম্যাসেজের কিছু স্কিন শর্ট ঘেটে দেখা যায় অভিযুক্ত ইমন অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময়ে নানান রকম ম্যাসেজ দিয়ে উত্যক্ত করতো।ইমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী।
ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা জনিত কারনে,পরিচয় অপ্রকাশের শর্তে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান,আমি কিছুদিন আগে লঞ্চঘাট থেকে রূপাতলি আসার পথে দুইজন ছেলে আমার সাথে অটো তে উঠেছিলো এবং আসার পথে তারা আমাকে বিরক্ত করার ট্রাই করে রেসপন্স না করার পরও কথা বলতে চাওয়া গা ঘেঁষে বসে থাকা এসব কাজে আমি খুবই বিব্রত হই তবে তখন বুঝতে পারিনি যে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের। তার কিছুদিন পর ওই ছেলের সাথে আমার ক্যাম্পাসে দেখা হলে আমি চিনে ফেলি তবে একটু কনফিউজড থাকায় তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এবং ওখানেও খুবই নোংরা ব্যবহার করে। এই ঘটনার পর আমি আমার কিছু ফ্রেন্ডের সাথে এটা শেয়ার করলে তখন আমার দুই তিনজন ফ্রেন্ড জানায় ওরা তখন রুপাতলি আমাকে দেখেছে আর ওরা যেহেতু এই ছেলেকে আগে থেকে চিনে তো ওরাই ওর নাম আমাকে জানায় যে সাথে বোটানি বিভাগের ইমন ছিলো। এরপর আমি ওর সম্পর্কে যাদেরকেই জিজ্ঞেস করি সবাই ওর চরিত্র সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছে তাতে আমার মনে হলো যে ওর সাথে পার্সোনালি বিষয়টি হ্যান্ডেল করতে গেলে ওর নোংরা কথা আমার সম্মানহানি করবে।
একই কারনে পরিচয় অপ্রকাশের শর্তে ভুক্তভোগী আর এক শিক্ষার্থী জানান,এই ছেলে আমাকে প্রথমে নক করে কথা বলার চেষ্টা করে, আমি ইগনোর করার চেষ্টা করলে আমাকে বলে সে আমাকে অনেক পছন্দ করে। আমি মানা করে দিলেও সে নানা ভাবে আমাকে নক করতো, আমি রিপ্লাই করা বন্ধ করে দেই এবং আইডি রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়। এরপর আমার আর কোন সমস্যা হয়নি কিন্তু এখন দেখছি শুধু আমাকে না এরকম অনেকেই সে নক করে ডিস্টার্ব করে। এটা একধরনের ভায়োলেশন। আমি চায় এই ছেলে তার কর্মের উপযুক্ত শাস্তি পাক।
তবে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইমনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয় নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, আমরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবেদক- মোঃ আশিকুল ইসলাম, ববি প্রতিনিধি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...