বিজ্ঞাপন
নিহত আরিফ হোসেন রায়পুর পৌরসভার গোলাম রহমান সর্দার বাড়ীর মানিক মিয়ারের মেজো ছেলে এবং শহরের এক ফার্নিচার কর্মচারি ছিলেন।
মৃতের ছোট বোন নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে রায়পুর থানায় আ'লীগ সভানেত্রী শামছুন্নাহার লিলি ও মামুন সর্দারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলা নং-৩২ (১৯/১০/০২৫)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়েক বছর ধরে রায়পুর পৌরসভার পশ্চিম কেরোয়া গ্রামের সাহাবুদ্দিন মৌলিভির বাড়ীর আরিফের পরিবারের সঙ্গে শামছুন্নাহার লিলি ও মামুন সর্দারের পরিবারের ৪১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি স্থানীয় শালিশ বৈঠকে জমিগুলো দখল ছেড়ে দিতে আসামিদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লিলি ও মামুনের পরিবারের সদস্যরা নাসরিন ও আরিফকে পিটিয়ে জখম করেন। একই ঘটনায় থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়।
সূত্র জানায়, শনিবার রাতের দিকে আরিফকে তাদের বাড়ীর পাশে সুপারি বাগানে কুপিয়ে জখম করে হত্যা করা হয় এবং মরদেহ গাছের ঝোপঝাড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নাসরিন আক্তার জানান, নিহতের স্ত্রী প্রতিবন্ধী এবং তাদের দুটি মেয়ে রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, "আমাদের শত্রু আ'লীগ নেত্রী শামছুন্নাহার লিলি (৫৫) ও মামুন সর্দার (৩৫) সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা আমার ভাইকে হত্যা করে পালিয়েছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।"
অভিযুক্ত শামছুন্নাহার লিলি ও মামুন সর্দার পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তাদের স্বজনরা দাবি করেছেন, আরিফদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল, কিন্তু হত্যার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া জানান, "শনিবার রাত ১টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে আরিফ আর ফিরেনি। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজে না পেয়ে সুপারি বাগানে তার লাশ পান। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে তার মাথায়, ডান হাতে আঘাত এবং পায়ে ভাঙন রয়েছে।"
প্রতিবেদক- মাহামুদ সানী, লক্ষ্মীপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...