Logo Logo

কাশিয়ানীতে সুদ ব্যবসায়ীদের ফাঁদে নিরীহ পরিবার


Splash Image

চিহ্নিত সুদ ব্যবসায়ী ও প্রচারক তাপস কুমার বিশ্বাস ও দেলোয়ার হোসেন পথিক এর মামলা-হামলার ফাঁদে পড়ে ভিটেবাড়ি হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিরীহ এক পরিবার।


বিজ্ঞাপন


ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া গ্ৰামে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দ্বারে দ্বারে ঘুরার পাশাপাশি আদালতের শরণাপন্ন হয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না পরিবারটি। তারা আরো জানান, সুদ ব্যবসায়ী তাপস কুমার বিশ্বাস রামদিয়া সরকারি শ্রীকৃষ্ণ কলেজের অফিস সহকারী ও দেলোয়ার হোসেন (পথিক) ফুকরা গ্ৰামের প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল ব্যক্তি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলেন না।

নিরহ পরিবারের প্রধান কানন বালা গাইন ভোরের বাণী কে জানান, ২০১৫ সালে তাপস কুমার বিশ্বাসের কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা সুদে নিয়েছিলেন তিনি। লেনদেনের সময় তার নিজ নামের ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টের একটি স্বাক্ষর করা ফাঁকা চেক জামানত হিসেবে দিয়েছিলেন। কিছুদিন পরে টাকা পরিশোধ করা হলেও প্রতারক সুদ ব্যবসায়ী তাপস জামানতের চেকটি ফেরত না দিয়ে হারিয়ে যাওয়ার নাটক সাজিয়েছিল। বলেছিল আপনি তো টাকা পরিশোধ করেছেন। ওই চেকের আর কোন কাজ নেই, মনে করবেন চেক ছিঁড়ে ফেলেছি। এখন ১০ বছর পরে এসে ওই চেকে ৮ লক্ষ টাকা লিখে আমার নামে কাশিয়ানী আমলী আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমার বাড়ী ঘর ও ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি তারা কোন প্রতিকার দিতে পারেনি।আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি আদালত ও আমার কথা বিশ্বাস করছে না। আমার পরিবার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমি এই প্রতারক ও সুদ ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

সুদের ব্যবসা ও প্রতারণা করার অভিযোগ তাপস কুমার বিশ্বাস অস্বীকার করলেও দেলোয়ার হোসেন পথিক দাম্ভিকতার সুরে বলেন আমি টাকা পাবো তাই মামলা করেছি, পুরো ৮লাখ টাকাই তাদের দিতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুকরা গ্ৰামের একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, দেলোয়ার হোসেন পথিক একজন সুদখোর ও প্রতারক। সে নিজেকে আর্মি অফিসারের পিতা পরিচয় দেয়। বিভিন্ন মানুষকে লেনদেনের ফাঁদে ফেলে মামলা হামলা দিয়ে বাড়তি টাকা পয়সা ও যায়গা জমি হাতিয়ে নেয়। এলাকার প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলেনা।

এ বিষয়ে রামদিয়া সরকারি শ্রীকৃষ্ণ কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, কোন সরকারি চাকুরিজীবীর সুদের ব্যবসা করার সুযোগ নেই। আমি প্রমান পেলে দাপ্তরিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রতিবেদক- আনিচুল ইসলাম জার্মান, গোপালগঞ্জ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...