ভোরের বাণী
চট্টগ্রামের পোশাক কারখানা থেকে জব্দ হওয়া কেএনএফের ইউনিফর্মের ছবি
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, গত ১৭ মে রাতে রিংভো অ্যাপারেলস নামের ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে পোশাকগুলো জব্দ করে পুলিশ। পরদিন ১৮ মে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়, যার বাদী নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই কোটি টাকার চুক্তিতে কেএনএফের জন্য ইউনিফর্ম তৈরির কাজটি শুরু করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন—কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলাম এবং ইউনিফর্ম তৈরির অর্ডারদাতা গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার।
তদন্ত অনুযায়ী, মার্চ মাসে মংহলাসিন মারমা নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে এই অর্ডার দেওয়া হয়। চলতি মাসেই এসব পোশাক সরবরাহ করার কথা ছিল। মামলায় মারমাকেও আসামি করা হয়েছে।
তবে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান এবং মামলার বাদী এসআই ইকবাল হোসেন কেউই গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাননি। এমনকি নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আমরা জানতাম না পোশাকগুলো অবৈধ বা কার জন্য তৈরি হচ্ছে। পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়।”
মামলায় আরও বলা হয়েছে, কেএনএফ একটি সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হত্যা, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এ গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় এবং কয়েক বছর আগে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়।
তারা পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক রাজ্য গঠনের ঘোষণা দেয় এবং ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি বান্দরবানের দুটি উপজেলায় মাত্র ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায়ও তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।