ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের মূল ফটকসহ সব প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, বিকেল ৪টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া না পেলে ‘কঠোর কর্মসূচি’ ঘোষণা করা হবে।
সকাল সোয়া ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় প্রথমে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। পরে মিছিল করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের কার্যালয়ের দিকে যান তারা। দুপুর ১২টা নাগাদ তারা সচিবালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে অবস্থান নেন, পাশাপাশি অন্য প্রবেশপথগুলোও অবরুদ্ধ করে দেন। ফলে সচিবালয়ে কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে।
কর্মচারীদের অভিযোগ, সদ্য জারি করা সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ একটি “নিবর্তনমূলক আইন”। এতে চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় তদন্ত ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করার বিধান রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করা হলেও এর বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রাখা হয়নি, যা কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে।
সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর বলেন, “এই কালাকানুন বাতিল করতে হবে। বিকেল ৪টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপ না এলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
এক বিক্ষুব্ধ কর্মচারী নেতা সরাসরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে দায়ী করে বলেন, “এই অধ্যাদেশের মূল মাস্টারমাইন্ড আপনি। আপনারা উপদেষ্টা পরিষদকে ভুল বোঝাতে পেরেছেন, কিন্তু আমাদের নয়।”
এর আগে, গতকাল রোববারও কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি উপেক্ষা করে সরকার সোমবার অধ্যাদেশ জারি করায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।