বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত নাসির উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত মইজ উদ্দিনের ছেলে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আগুন লাগানোর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয়রা নিজেদের ঘরের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, মৃত মইজ উদ্দিনের ছয় ছেলে। তাদের মা শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেন। মায়ের কবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে চার ভাই ও দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরে বিষয়টি দুইটি গোষ্ঠীতে রূপ নেয় এবং শনিবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এতে নাসির উদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে মারা যান।
এদিকে স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছেন, অনেক বছর আগে লুডু খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছিল। মায়ের কবর দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই পুরনো বিরোধই আবার সামনে আসে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মিয়া ও সাচ্চু গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মৃত মইজ উদ্দিনের স্ত্রী বেগম আক্তারের মৃত্যুর পর তার কবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছয় ভাইয়ের মধ্যে দুই গ্রুপে বিভক্তি ঘটে। এরই জেরে শনিবার সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের আঘাতে সাচ্চু গ্রুপের সদস্য নাসির উদ্দিন নিহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, “মায়ের মৃত্যুর পর কবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...