বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি এক প্রশ্নোত্তরে মাদ্রাসা ও মসজিদে নামাজের সময় কোনো বিশেষ ব্যক্তির জন্য জামাত বিলম্ব করা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া দিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত আলেম মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি, উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
প্রশ্নে বলা হয়, আমাদের মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শাইখুল হাদিস হুজুর মাঝে মাঝে মাদ্রাসায় আসেন। এমনকি নামাজের নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও ইমাম সাহেব তাঁর জন্য অপেক্ষা করেন এবং গ্রামের মানুষও অপেক্ষা করে। এমন অবস্থায় তাঁর জন্য অপেক্ষা করা কি জায়েজ?
অন্য মুসল্লিদের কষ্ট হয় কিংবা তারা অসন্তুষ্ট হয়, এ ধরনের ক্ষেত্রে খাস কোনো মুসল্লির জন্য বিলম্ব করা উচিত নয়। বরং এর থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। কারণ এতে মানুষের মনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাপারে ভুল ধারণা জন্ম নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী শরিয়তের আলোকে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য জামাত বিলম্ব করা অনুচিত, বিশেষত যখন এতে সাধারণ মুসল্লিরা কষ্ট পান বা অসন্তুষ্ট হন। এ প্রসঙ্গে তিনি ‘হাশিয়াতুত তাহতাভি আলাদ্দুরুল মুখতার’ গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দেন—“وأما الانتظار قبل الشروع في غير ما يكره تأخيره كمغرب وعند ضيق فالظاهر عدم الكراهة ولو لمعين إلا إذا ثقل على القوم কিতাবুস সালাত, ফাসলুশ শুরু ফিস সালাত, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২২০, দারুল মাআরিফা সংস্করণ
অর্থাৎ, জামাত শুরু করার আগে অপেক্ষা করা যদি নামাজ বিলম্বিত হওয়া বা মুসল্লিদের কষ্টের কারণ হয়, তবে তা অপছন্দনীয় এবং শরিয়তসম্মত নয়।
সুতরাং ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বিশেষ ব্যক্তির জন্য জামাত বিলম্ব করা উচিত নয়। বরং নির্ধারিত সময়ে নামাজ শুরু করাই উত্তম ও শরিয়তসিদ্ধ পন্থা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...