বিজ্ঞাপন
অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কৃষকদের কথা চিন্ত করে, কৃষকের দুঃখ মোচনে ঋণ সালিশি আইনসহ বেশ কয়েকটি আইন পাস করেন তিনি। কৃষির আধুনিকায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘দি বেঙ্গল অ্যাগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’, যার বর্তমান নাম শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
কর্মময় জীবনে তিনি ১৯৩৫ সালে কলকাতার মেয়র ও ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন।
পরবর্তীতে, ১৯৫৪ সালের ১৫ মে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। ১৯৫৬ সালের ২৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এ কে ফজলুল হক। তবে ১৯৫৮ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার তাকে গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করে। এরপরই তিনি তার ৪৬ বছরের বৈচিত্রময় রাজনৈতিক জীবন থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর আবুল কাশেম ফজলুল হককে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক ‘হেলাল-ই-পাকিস্তান’ খেতাব দেওয়া হয়।
১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মারা যান শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনের কবর রয়েছে। তাদের তিনজনের সমাধিস্থলই ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...