ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের অভ্যন্তরে সরকারপন্থী লিয়াজোঁকারীদের প্রতি, বলছেন, “যারা উইকেটের দুই পাশেই খেলতে চায়, তাদের জন্য দলে কোনো জায়গা নেই।”
সোমবার পাঞ্জাব প্রদেশের আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার বোন আলীমা খান এ তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন। কারাগারের ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, “সরকার ইমরান খানের সঙ্গে চরম দমনমূলক আচরণ করছে। গত আট মাসে মাত্র একবার সন্তানদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এখন বলা হয়েছে, এমনকি তার বোনরাও আর দেখা করতে পারবেন না।”
আলীমা খানের ভাষ্য অনুযায়ী, ইমরান খান নিজের দলের প্রতি বার্তা দিয়ে বলেছেন, এ আন্দোলন হবে ‘সরকারবিরোধী জাতীয় গণজাগরণ’। তিনি কোনো আপস করবেন না এবং প্রয়োজনে সারা জীবন কারাগারে থাকতেও রাজি আছেন।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, ইমরান খানের কারামুক্তির লক্ষ্যে পিটিআইয়ের হাইকমান্ড বর্তমানে সরকারের সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী। যদিও ইমরান নিজে আপসের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তথাপি তার অনুমতিতেই ব্যারিস্টার গওহর খান সরকারের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহাবাজ শরিফের উপদেষ্টা মুহম্মদ আলী সাইফ গত সপ্তাহে কারাগারে ইমরানের সঙ্গে দেখা করেন এবং সংলাপের প্রস্তাব দেন। ইমরান খান প্রাথমিকভাবে এতে সম্মতি জানান এবং সেই ভিত্তিতেই দলীয় আইনজীবী গওহর খান আলোচনা শুরু করেন।
ক্রিকেট মাঠের তারকা থেকে রাজনীতির আঙিনায় আলোচিত নেতা হয়ে ওঠা ইমরান খান ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর আশীর্বাদে ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার পর ২০২২ সালে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান। এরপর থেকেই একের পর এক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে কারাগারে যান তিনি।
বর্তমানে ইসলামাবাদ-কাশ্মির ইস্যুতে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই পিটিআই ও সরকারের আলোচনা থমকে আছে।