ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সময় সোমবার (২৬ মে) বেনুর গোয়ার ওয়েস্ট এলাকা থেকে এই মর্মান্তিক খবর জানিয়েছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা।
নাইজেরিয়ার বেনু প্রদেশ মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা হলেও এখানে দীর্ঘদিন ধরেই কৃষক ও পশুপালকদের মধ্যে জমি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই অঞ্চলটি প্রায়শই ফুলানি পশুপালকদের সঙ্গে স্থানীয় কৃষকদের সংঘর্ষের সাক্ষী হয়ে ওঠে। সর্বশেষ হামলাগুলোর জন্যও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ফুলানিদের দিকেই আঙুল তুলছে।
স্থানীয় সরকার চেয়ারম্যান অরমিন তোরসার ভিক্টর বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তিনদিন ধরে চালানো এই হামলাগুলো মূলত আওনডোনা, তেওয়া বিয়ানা এবং আরেকটি অজ্ঞাত গ্রামে সংঘটিত হয়েছে। শুধু আওনডোনা গ্রামেই কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। তিনি নিজে এবং স্থানীয়রা মিলে তেওয়া বিয়ানা গ্রামে এক বাবা ও তার দুই ছেলেসহ পাঁচজনের দাফন করেছেন।
আওনডোনা গ্রামের বাসিন্দা রুথি ড্যান স্যাম বলেন, নিহতদের মধ্যে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদেরও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি একটি শিশুর মুখে ছুরি মেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে—যা রুথির ভাষায় ছিল "সবচেয়ে ভয়াবহ দৃশ্য"।
এদিকে বেনু প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র আনেন সেউয়েস ক্যাথেরিন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নিহতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন মত দিয়েছেন। তার মতে, এক অভিযানে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং ঘটনাস্থল থেকে মাত্র তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
যদিও সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে চেয়ারম্যান ভিক্টর দাবি করেন, এটি ছিল ফুলানি পশুপালকদের একটি "সমন্বিত আক্রমণ"। গত কয়েক বছরে এই অঞ্চলে জমি দখল ও প্রতিশোধ পরায়ণ সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় নাইজেরিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।