বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জুলাইয়ের সরকারি গেজেট ও মাসিক ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদনপত্র জমা দেন তিনি।
আবেদনপত্রটি জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পক্ষে গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন।
জেলা প্রশাসকের বরাবর দেওয়া লিখিত আবেদনে আবরার নাদিম উল্লেখ করেন, “জুলাইয়ের যৌক্তিক আন্দোলনে আহত হয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং স্থানীয় সরকারগুলো জুলাইয়ের যে চেতনা— দুর্নীতি ও লুটপাটমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্য— তা এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও বাস্তবায়ন করতে পারেনি এবং কার্যকর পদক্ষেপও নেয়নি। বরং রাজনৈতিক দলগুলোর অসংগতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে ফরিদপুরে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও অন্যান্য সেক্টরে আগের মতোই অনিয়ম বহাল রয়েছে। কোনো সিন্ডিকেট ভাঙেনি, অনিয়মও থেমে নেই— যা আপনারা সবাই অবগত আছেন। তাই আমি আমার নাম সরকারি গেজেট থেকে প্রত্যাহার করছি এবং মাসিক ভাতা (যদিও আমি তা গ্রহণ করিনি) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরিয়ে দিচ্ছি।”
আবরার নাদিম সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যে উদ্দেশ্যে আন্দোলন করেছিলাম তার কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। চারদিকে শুধু নিজেদের বন্দোবস্ত চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং স্থানীয় সরকারগুলো জুলাইয়ের যে চেতনায় দুর্নীতি ও লুটপাটমুক্ত দেশ গড়তে চেয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমি গেজেট ও সব ধরনের সুবিধা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।”
আবেদনপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন বলেন, “স্বেচ্ছায় জুলাইয়ের সরকারি গেজেট এবং সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদনটি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
